Tuesday, December 22, 2020

আমি উন্মাদ কবি


আমি জলজ্যান্ত পাথর

নিজেকে হারানোর আর্তনাদ কখনো আমায় আঘাত‌‌ করেনি।

আমি পোড়া বাড়ি

সুখের অভাবে নিজেকে পুড়িয়েছি বহুকাল ধরেই।

আমি মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা

পাহাড় সমান একাকিত্ব আমার বুকে।

আমি নীলরঙা আকাশ

বিষাদের তান্ডব নৃত্য বহমান আমার প্রতিটি মুহূর্তে।

আমি নিতান্তই বেহিসেবি

প্রাপ্তির খাতায় বাকি রেখে কাটিয়ে দিচ্ছি বেশ।


আমি সময়ের স্পন্দন

আমি অদৃশ্য অন্ধকার

আমি মহাকাল

আমি বেঁচে থাকা এক উন্মাদ কবি

আমি কবিতা লিখি,

আমি আকি তোমাদের ছবি।


আমি উন্মাদ কবি


Share:

Monday, April 13, 2020

ভালোবাসি

তোমার যৌবনটুকু দিবে আমায়?
ভালোবাসায় রাখবো যতনে,
একটু কি ভালোবাসা যায়?
জড়িয়ে নেবে তোমার জীবনে?

আমি তো ভালোবাসি
যতটুকু বাসা যায়, শোনো।
ভালোবাসি ভালোবাসি
এরচেয়ে বড় সত্যি পাবেনা কখনো!

Share:

সাইকো থ্রিলার গল্প: কুৎসিত হাসি

এক.
শনশন করে বাতাস বইছে। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার। বৃষ্টি আসতে পারে। ছোট ছোট পায়ে বাসার দিকে এগিয়ে চলছে রায়হান। হঠাৎ থমকে দাঁড়ায়। মনে হচ্ছে কে জানি পিছু নিচ্ছে তার। ইদানিং তার সাথে কেমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছ। চায়ের কাপ থেকে চা উদাও হয়ে যাচ্ছে। বাথরুমে ডুকলে পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এসব কেনইবা ডুকছে তার মাথায় ধরছে না। 
ভাবতে ভাবতে বাড়িতে এসে পৌঁছায় সে। দরজা খুলে দেয় তার বউ সালমা। মাস দেড়েক আগে তাদের বিয়ে হলো। রায়হানের বিয়ের ইচ্ছে ছিলোনা। তার মাকে খুশি করতেই তার বিয়ে করা। 

— এ কি, বৃষ্টিতে ভিজে এলে কেন?
— বৃষ্টি কখন হলো? আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করে রায়হান। 
— দেখো তোমার সারা শরীর পানিতে ভিজে আছে। আর বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। 
রায়হান গায়ে হাত দিয়ে দেখে আসলেই সেই বৃষ্টিতে ভিজে এসেছে। কিছু না বলে বাথরুমে চলে যায় রায়হান।

দুই. 
দরজা বন্ধ করে রায়হান আজকের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতেছে। বৃষ্টির ব্যাপারটা টের পেলো না কেন সেটাই তাকে খুব ভাবাচ্ছে। হঠাৎ মনে হলো তার রুমের ভেতর কেউ হাঁটতেছে। সে স্পস্ট দেখতে পারছেনা। মনে হচ্ছে খুব চেনা একজন মানুষ। 
হ্যাঁ আসলেই তো তার চেনা মানুষ। তার শত্রু সাদ্দাম। 

বছর খানেক আগেও সাদ্দাম আর রায়হান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। কিন্তু সাদ্দাম সেটার সুযোগ নিয়েই তার প্রেমিকা   মলিকে বিয়ে করে পেলে। এর থেকেই রায়হান আর সাদ্দাম এর দা-কুমড়া সম্পর্ক।

রায়হান খুব ঘামছে। ক্রোধে তার ভেতরটুকু পেটে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি গিয়ে মাথাটা পাটিয়ে দিবে। 
হঠাৎ দরজা আওয়াজ পায়। তার বউ ডাকছে চা খেতে।
— গামছো কেন?
— না, কারেন্ট নাই যে তাই। গরম পড়ছে খুব।
— কি বলছো এসব? মাথার উপরে ফ্যান চলছে তো। 
হা করে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকে রায়হান।

তিন.
সালমা ভীষণ চটে আছে। রায়হানের এসব আচরণ একদম ভালো ঠেকছেনা তার কাছে।

রায়হানের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তার সাথে কেন এমন হচ্ছে। সে যতই এসব নিয়ে ভাবতেছে ততই তার পুরোনো দিনের প্রেমটুকু জাগ্রত হচ্ছে। কিন্তু সে এটা চাচ্ছেনা। সব ভুলে গিয়ে সে সুন্দর ভাবে বাঁচতে চায়। সে তার বউকে আজকেই সব খুলে বলবে।

— মন খারাপ? খুব আদরের স্বরে সালমাকে জিজ্ঞেস করলো রায়হান। 
অভিযোগের স্বরে উত্তর দিলো।
— না। 
রায়হান খুব কাঁপতেছে। আজকে সে সব বলে দিবে।
সালমার কোলে মাথা রেখে রায়হান বলতে লাগলো,
— তোমাকে কিছু বলবো।
— বল
— কিছু মনে করো না। খুব হতাশায় আছি। 
— আরে কি হয়েছে বলো সব।
— ইদানিং খুব বাজে কিছু ঘটছে আমার সাথে। মনে হচ্ছে কেউ যেন আমার সাথে হাটছে। আমার নিমকহারাম বন্ধুটা। চিনো তাকে? আমাকে ঠকিয়ে সে আমার প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে। 
সালমা তার রায়হানের দিকে তাকাচ্ছে। এমন বিচলিত কখনো তাকে দেখেনি সে।  রায়হান বলে যেতে লাগলো।
— চলো কালকে ডাক্তারের কাছে যাই। আমার ব্যাপারটা ভালো লাগছেনা। 
— আচ্ছা সকালে যাবো। এখন ঘুমাও। এই বলে সালমা রায়হানকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো। রায়হান ভাবতেছে। মনে হচ্ছে কেউ জানি তার পাশে এসে বসলো। 

চার.
রায়হান নাস্তা খেয়ে রেডি হচ্ছে তার বউকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে। তার সবকিছু খুলে বলবে ডাক্তারকে। 
রুমে সালমা ডুকতেই রায়হান বলে উঠলো,
— যাবেনা? 
— কেন? ডাক্তারের কাছে। কাল রাতে যে বললাম! 
— মাথা কি গেছে নাকি? কখন কি বললে? আমি তো এসে দেখলাম তুমি ঘুমোচ্ছে।

রায়হান চুপ করে রইলো। সে যখন শুয়ে পড়েছে, তখন সালমা কিচেনে ছিলো।। এর মধ্যেই ঘুমিয়ে গিয়েছিল রায়হান। বাকী যে ঘটনা ঘটেছে সবটাই স্বপ্নে। সে সবকিছু ঝট পাকিয়ে পেলেছে। তার বুকের ভেতরে ধুকধুক শব্দ হচ্ছে। এমনটা বেশিদিন চললে সে পাগল হয়ে যাবে।

পাঁচ.
রায়হান শুয়ে আছে। কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না। তার আচরণ নাকি স্বাভাবিক নয়। সবাই তাকে পাগল বলে ডাকে। সে টের পাচ্ছে তার পাশে কেউ একজন আছে। এবার কোনো ছেলে নয়। তার প্রাক্তন প্রেমিকা মলি । যাকে সে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসেছে। যার 
প্রতারণার কথা মনে উঠলে নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে। যার জন্য তার এই মানসিক যন্ত্রণা সেই তার সামনে বসে আছে।
রাগে রায়হানের দেহে আগুন জ্বলছে। রায়হান তার মাথার নিচের বালিশটা নিয়ে চেপে ধরলো মলির মুখোর উপর। মলি চিৎকার করছেনা।
সে হাসতেছে।
কি অমায়িক হাসি। যে হাসির প্রেমে পড়েছিলো রায়হান। 
রায়হান ক্লান্ত হয়ে বালিশ পাশে রেখে তাকিয়ে আছে মলির দিকে। অনেকদিন পরে দেখলো তাকে।

ছয়‌.
হাত পা বাঁধা অবস্থা সালমার লাশের কাছে দাঁড়িয়ে রায়হান। তাকিয়ে আছে মায়াবী চোখদুটোর দিকে। যেন তাকে কিছু বলতে চাচ্ছে। সে কান্না করতে পারছেনা। 

খুব সংশয়ে আছে। সে কি স্বপ্ন দেখছে নাকি বাস্তবে? 
কাল রাতেই তো সালমা তার পাশে ঘুমোলো। কিভাবে মারা গেলো? তার হাত বাঁধা কেন? 
নানা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মারছে তার মাথায়। নিজেকে পাগল মনে হচ্ছে তার। মনে হচ্ছে তার পাশে কেউ হাঁটছে। তার বন্ধু সাদ্দাম। তাকে দেখে খিলখিলিয়ে হাসছে। যগতের সবচেয়ে কুৎসিত হাসি তার মুখে।

সাত. 
সালমার মারা যাওয়ার আজকে একবছর। রায়হানের ভাবনার জগতে শুধু এখন সালমা। কবরে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে রায়হান। মনে হচ্ছে তার পাশে সালমা দাঁড়িয়ে আছে। একগাদা অভিমান নিয়ে অন্যদিক ফিরে।



ভাবনার জগতটা যত সুন্দর হয়, মানুষের মস্তিষ্কের তত বিকাশ ঘটে। কিন্তু কিছু ভাবনা জগতকে এলোমেলো করে দেয়। সৃষ্টি করে সংশয়ের, দ্বিধার আর রহস্যের। মিথ্যার আবডালে ডাকা পড়ে সত্য।
তবুও আমরা ভাবি। আমাদের ভাবনা প্রসারিত করি।
দ্বিধাদ্বন্দ্বের এই পৃথিবীতে কত রহস্যের খোঁজে নিজেকে ভাবিয়ে তুলি। ভাবনায় তৈরি করি হাজারো চরিত্র। 
যেগুলো আমাদের হাসায়, আমাদের কাঁদায়।গল্প বলে, গান শোনায়, সঙ্গ দেয় একাকিত্বের রাতে। 

"কুৎসিত হাসি"
গল্পের ধরন: সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার
© ইসমাইল হোসেন
Share:

Thursday, February 13, 2020

অনাগত রঙধনুর অপেক্ষা

জীবনটা খুব পানসে পানসে লাগে। কি আছে এই জীবনে? স্বল্প দৈর্ঘের সময়টায় সাজাই নানা লাল নীল স্বপ্ন।
কিছু স্বপ্ন আর লক্ষ্য নিয়েই আমাদের পথচলা।  যেখানে পরাজয়ের শঙ্কা প্রতিটা পদক্ষেপে।তবুও বেঁচে আছি, তা সৌভাগ্য নয় আর কি!

জোৎস্নাময় রাত, নীল আকাশে সাদা মেঘের তারা, হু হু করে বয়ে যাওয়া দখিনা বাতাস, আকাশ সমান পাহাড়, নদীর জলের কলকল ধ্বনি, রাতের নিস্তব্ধতা প্রতিটি মানুষকে বাঁচতে শেখায়। ইচ্ছে হয় যেন যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকি।

বছরের পর বছর ঘুরে শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত - আগে যেমন আসতো, এখনো তেমনি আসে, ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু মানুষ আসে একবারই, যখন যায় চিরকালের জন্যই যায়; কেউ শুকনো পাতার মতো ঝরে বিলীন হয়ে যায়, কেউ রেখে যায় অবিনাশী স্মৃতি।

জন্মগ্রহন মানেই প্রতিটি মানুষের পরকালের টিকিট হাতে নিয়ে পথের পথ ছুটা। সেটা বন্ধুদের সাথে খাবার কাড়াকাড়ি করে হোক বা কোনো অপরিচিতা রহস্যময়ী সুন্দরী নারীর অপলক চাহনিতে।
দৈর্ঘের হিসেবে সময়টা স্বল্প হলেও আমাদের স্বপ্নগুলো গুলো স্বল্প নয়।

স্বপ্ন জয়ের প্রত্যাশা মানুষকে কাঁদায় ।দুঃখ-কষ্ট  জীবনের আরেক নির্যাস । দুঃখের মতো পরশ পাথর আর নেই । মেঘাচ্ছন্ন আকাশের আড়ালে তেজোদ্দীপ্ত সূর্যের মতো দুঃখের ওপারে থাকে অনাবিল সুখের হাতছানি । কে না জানে, যারা জীবনে অনেক দূঃখ-কষ্ট ভোগ করেছে তারাই সুখের প্রকৃত দাবিদার।

সুখ দুঃখের হিসেব মেলানো সম্ভব হয়না। সম্ভব হয়না সব স্বপ্নকে জয় করতে। মাঝে মাঝে জীবনটাকে নিরস মনে হয় । যেন পুরোটাই যান্ত্রিক আর একঘেয়ে।তবুও আমরা অপেক্ষায় থাকি কিছু অনাগত রঙধনুর। বুনি পাহাড় সমান স্বপ্ন।

© ইসমাইল হোসেন
Share:

Friday, June 28, 2019

একটি প্রেমের গল্প

একটা মানুষকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি চিনিনা। তার সাথে আমার কখনো কথাও হয়নি। শুধু কয়েকদিন দেখেছি।
আর তাকে প্রচুর ভালোবাসি।
ব্যাপারটা অদ্ভুত না?
একজন চেনা জানা ছাড়াই দেখাদেখিতে ভালোবাসা?

যাইহোক,একদিন হুট করে বলেই দিলাম "ভালোবাসি"। প্রথমে না করলেও কয়েকদিনের মধ্যেই পটিয়ে ফেললাম। শুরু হলো একটি সম্পর্ক। নাম দিল "ভালোবাসা"। বুকের মাঝেই সুন্দর করে সাজালাম " প্রথম দেখাতেই প্রেম" নামে একটি গল্প।

এতটুক পর্যন্ত গল্পটা সুন্দর।
এরপর শুরু হলো দুজনেরই সমস্যা। ওর মতে আমি এমন ক্যান, আমার কথা সুন্দর নাই, চলাফেরা সুন্দর নাই। আমার মতে তো আরো অনেক সমস্যা তার।
এই গল্পটার নাম দিলাম " সম্পর্ক পুরনো হয়ে গেছে কিংবা মানুষ"। তাই একে অপরকে ভালো লাগেনা। সো ব্রেকআপ।

আসলে কি সত্যিই তাই?
নাকি প্রথম গল্পেই আমাদের ভুলটা? ওই মানুষটাকে যদি আমি চিনে নিতাম, ওর সম্পর্কে ঠিকমতো জেনে নিতাম। তাহলেই তো সম্পর্কের শেষ গল্পটা এমনভাবে রচিত হতো না।
একটা মানুষকে দেখলে তার চেহারা চেনা যায়, মনকে চেনা যায়না। আর মনকে চিনতে হলে তাকে জানতে হয়। মনকে জেনে যে ভালোবাসাটা সৃষ্টি হয়, সেটাই সত্যিকারের ভালোবাসা।
আর হ্যাঁ, "প্রথম দেখাতেই প্রেম" গল্পগুলো সিনেমাতেই খুব ভালো মানায়।বাস্তবতাতে না।
Share:

Thursday, June 27, 2019

মিস করছি ভীষণ - ভাবুক

ব্যস্ত ছিলে খুব?
নাকি ঘুমের সাগরের দিয়েছিলে ডুব?
মেসেজ দিয়েও পাইনি উত্তর,
এখনও কেন তুমি চুপ?

ভুলেই তো গেছো আমায়
নাই কোনো মুল্য,
আছি আছি বলে সম্পর্কটা
আর কতকাল ঝুললো?


কত যে হলো বকা
কথা হয়না অনেক্ষন!
ঝুম বৃষ্টির মাঝরাতে
তোমায় মিস করছি ভীষণ।

২৭ জুন ২০১৮
রাত ১২ টা

Share:

Wednesday, June 26, 2019

জীবনের লড়াই

জীবনের বাস্তবতা আসলেই খুব কঠিন।প্রতিনিয়ত কেটে যায় চাওয়া আর পাওয়ার ক্যালকুলেশনে। স্বল্প পরিসরের জীবনকে দীর্ঘতম করা মানুষের আজন্ম প্রয়াশ। কিছু ক্ষেত্রে মানুষ না চাইলেই পেয়ে যায়, কিন্তু চাওয়ার পাওয়াটা সবসময় সম্পূর্ণ হয়ে ওঠেনা। আর না পাওয়ার চেতনা মানুষকে নতুন করে চাইতে শেখায়। মনের গহিনে বুনতে শেখায় নতুন স্বপ্ন।

আমরা সবাই নিজেকে নিজের স্বপ্নের পৃথিবীতে রাজা ভাবি। অনেক ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলি স্বপ্ন কাব্য। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে মানুষ মৃত্যু দুয়ারে এসেও ছোট্ট একটি অনুপ্রেরণা খুঁজে বাঁচার জন্য।

কিন্তু প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষ তার অনেক স্বপ্ন পূরনের খুব কাছাকাছি গিয়েও স্বপ্নগুলো পূরন করতে পারেনা। কেই কেউ স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট নিতে নিতে স্বপ্নহীন হয়ে একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। আবেগ অনুভূতি সব বিসর্জন দিয়ে হয়ে যায় পাগল প্রায়।
আমাদের সমাজে একে অন্যের দেখা স্বপ্নকে শ্রদ্ধা সম্মান করতে জানেনা।  স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রেরণা তো দিতে পারেনা। বরং স্বপ্ন পূরণের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এভাবেই চলতে থাকে আমাদের জীবনের ভাঙা গড়ার লড়াই। তবে মাঝে মাঝে সময়গুলো খুব এলোমেলো ভাবে যেন পেছন ফিরে ডাকে। মনে করিয়ে দেয় পেলে আসা স্বপ্ন গুলির কথা। আর এটাই বাস্তবতা। কিন্তু স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলি কঠিন বাস্তবতা সহজে মেনে নিতে পারেনা।স্বপ্নকে জয় করার লক্ষ বাদ দিয়ে লক্ষভ্রষ্ট হওয়া মানুষগুলো একসময় ব্যস্ত হয়ে যায় স্মৃতি হত্যার  লড়াইয়ে। সেটা হয়ে না হয়ে ওঠলেও জীবনের ক্যালকুলেশন টা একসময় ঠিকই মিলে শূন্যে পরিনত হয়।

~ ইসমাইল হোসেন

Share:

Tuesday, March 12, 2019

এবার তোরা মানুষ হ- ৩

জীবনটা কত ঠুনকো, না?? কত সহজেই নামের পাশে মৃত লেখা হয়। নামের আগে মরহুম শব্দ ব্যবহার করা হয়।
মৃত্যু সে তো সস্তা জিনিস!
যখন তখন মৃত্যু হয়। রাস্তার মোড়ে গাড়ির তলে, রেল লাইনে, মাঝির নৌকায়, বোটে কিংবা লঞ্চে। US Bangla এর মতো  ছিটকে পড়া কত বিমানে।
মৃত্যু আসলেই সস্তা জিনিস!
খাদ্য,বস্ত্র চিকিৎসার অভাবে কত লাশই পাওয়া যায়। কত মানুষ প্রাণ দিচ্ছে শাড়ির আঁচল কিংবা দড়িতে, কেওবা বিষের শিশি বা ঘুমের বড়িতে। ডাক্তারের হাতে মৃত্যও কম নয়।
মৃত্যু কত সহজ! মৃত্যুর ইতিহাস ও তো কত! বোমা বারুদ, কামান, পাহাড় চাপা,  আগুনের লেলিহান শিখা সৃষ্টির করে নতুন নতুন মৃত্যুর সংবাদ।
কিন্তু জন্ম-
সে তো এতো সস্তা না, সহজ না!
কতরাত নির্ঘুম কাটাতে হয় একটা জন্মের জন্য,
কতটি কচি পায়ের আঘাত,
কতটি মাস ধরে সয়ে যেত হয়,
কত ত্যাগ লাগে একটি জন্মের জন্য।
লক্ষ কোটি শুক্রাণুকে লড়াই এর মাঝে একটি মাত্র জন্ম হয়।
একটি জন্মের জন্য একজন মাকে ১০ মাস ১০ দিন নিদারুন কষ্ট করতে হয়।
জন্ম এতো সহজ নয়!
তবুও কিছু অমানুষ কুলাঙ্গারের জন্য এই জন্মের ফসল পাওয়া যায় ডাস্টবিনে, ড্রেনে কিংবা ঝোপে ঝাড়ে। তবে কেন??
কবি নিস্তব্ধ, কবি নিরব। আবার তোরা মানুষ হ‌.......

আবার তোরা মানুষ হ‌-৩
ইসমাইল হোসেন
১২-০৩-২০১৮
Share:

Sunday, March 10, 2019

চাওয়া ও পাওয়া


চাওয়া আর পাওয়া দুটোর হিসেবটা মেলানো বড় কষ্টকর। চাওয়া যতটা সহজ, পাওয়া তার চেয়েও কঠিন। পেতে হলে নিজেকে অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়। আর সেখানেই পাওয়ার প্রকৃত আনন্দ থাকে। কিছু জিনিস না চাইতেও পাওয়া হয়ে যায়। সে পাওয়াতে আনন্দ নেই। আবার কিছু জিনিস অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পেলেও ধরে রাখা যায়না। মাঝপথে এসে হারাতে হয়।এই ক্ষেত্রে পাওয়া থেকে পাওয়া জিনিস ধরে রাখাটা কষ্টকর। হারানো সুর সবসময় বাজে হয়।  কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাওয়ার সময় বুঝা যায় তার হারানোটা কত ভয়ংকর।
Share:

Thursday, March 7, 2019

মৃত্যু

হঠাৎ চলে গেলাম ওপারে, তবে কি ক্ষতি হবে এই পৃথিবীর?
কিছুই না।
হয়তো আত্নীয় স্বজনরা কাঁদবে, তাও কিছুক্ষনের জন্য! কিছু সময় পর তারা কাঁদবে না। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। কারন খুঁজলে দেখা যাবে  তাদের অনেকের কান্নার পিছনে বিন্দু মাত্র হলেও স্বার্থ ছিলো।
 খুব কম মানুষই মায়ায় পড়ে কাঁদে।এক ধরনের জাগতিক মায়া। যে মায়া সৃষ্টি হয় স্বার্থহীন বন্ধন থেকে।

আচ্ছা যার আপন কেউ নেই, তার চলে যাওয়াতে কান্না করার মতো কেউ কি থাকে?
জানিনা! অতটুকু আমার জানার মধ্যে পড়েনি।

পৃথিবীর নানারকমের লোক পাওয়া যায়, যারা নিজে অন্যের জন্য করে। ভাত খাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যের ভালোর জন্য কুরআন তেলোয়াত করা অবদি সব লোকই পাওয়া যায়।
ভাই
আচ্ছা কারো মৃত্যুতে কান্না করার জন্য ভাড়ায় লোক পাওয়া যায়?
 পেলে ভালো হতো। অন্তত তাদের জন্য, যাদের মৃত্যু স্বেচ্ছায় কান্না করার মতো কেউ নেই।

আচ্ছা মৃত মানুষের জন্য কান্না করা কি খুব জরুরী? মৃত্যুকে হাসি মুখে মেনে নেওয়া যায়না কেন? মৃত্যুকি শুধুই হৃদয়বিদারক?
কই কারো মৃত্যুতে তো পৃথিবীর খুব একটা ক্ষতি হয়না! দুএকদিন শোক করে সবাই নিজের মতো করে ভুলে যায়। তাহলে কেন মৃত্যুতে কাঁদতে হবে?

আচ্ছা! আমি চলে গেলে তোমরা কি কাঁদবে?
এই দুএকদিনের জন্য লোক দেখানো কান্না করবে আমার জন্য?

-খুব ভাবায় আমাকে,,,,,,!

~ ইসমাইল হোসেন ( ভাবুক)
Share:

Latest Posts

Search This Blog

Featured Post

আমি উন্মাদ কবি

আমি জলজ্যান্ত পাথর নিজেকে হারানোর আর্তনাদ কখনো আমায় আঘাত‌‌ করেনি। আমি পোড়া বাড়ি সুখের অভাবে নিজেকে পুড়িয়েছি বহুকাল ধরেই। আমি মধ্যরাতের নিস্ত...

Contact Form

Name

Email *

Message *

Followers